বাংলাদেশে আর মাত্র সাত থেকে আট শতাংশ বাকি আছে বিদ্যুতায়ন করার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নে পৌঁছাব আমরা। সন্দিপের মতো একটি দ্বীপেও এখন শতভাগ বিদ্যুৎ রয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আগামী তে বিশ্বের এক নাম্বার দেশ হবে।

গোসাইরহাটে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ধরনের কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলা ইদিলপুর ইউনিয়নের ধীপুর এলাকায় গোসাইরহাট ৩৩/১১ কেভি, ১০/১৪ এমভিএ ও ভেদরগঞ্জ ৩৩/১১ কেভি, ১০/১৪ এমভিএ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতের জন্য আমরা এগুচ্ছি। পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেহেতু পদ্মা সেতু হচ্ছে, দক্ষিণাঞ্চলে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হবে। তাই এসব এলাকায় বিদ্যুতের ডিমান্ড অনেক বেড়ে যাবে। আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে।

পরে সকাল সাড়ে ১১ টায় গোসাইরহাট উপজেলা হেলিপ্যাড মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন নসরুল হামিদ বিপু।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি শাহজাহান শিকদার, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. শাহজাহান, জেলা পরিষদের সদস্য শাকিল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের মোস্তফা কামাল ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক নয়ন দেওয়ানসহ উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা ও আ.লীগের অঙ্গসংগনের নেতা কমীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দু’টি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি, লাইন নির্মাণ ব্যয় একশ ৮২ কোটি টাকা। দু’টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র গড়তে মোট ব্যয় হয়েছে একশ ৯৮ কোটি টাকা। দুই উপজেলার সুবিধাভোগী ৫১ হাজার সাতশ ১৫ পরিবার।