“ফিরে এলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৭”
‘এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মূল লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন সমাজ উন্নয়নে, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখছে তাদেরকে জাতীয় উন্নয়নের ধারায় সংযুক্ত করা।’
— নাহিম রাজ্জাক
সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য
নতুন প্রজন্মের অর্জনগুলোকে প্রচারের মাধ্যমে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যকার বন্ধন দৃঢ় করতে আগামী ২০-২১ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মতো সফল যুবদের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। দেশ ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ এবার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন ৫০ জন তরুণ। তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিতে ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে হাজির হচ্ছে ইয়াং বাংলা।
দেশ ও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে ১০০ জন তরুণ। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে এ সময় কথা বলারও সুযোগ পাবে তারা। অতঃপর ২১ অক্টোবর বাছাইকৃত ৫০ জন তরুণ ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের স্বনামধন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। নিজ হাতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই।
এই অয়োজনকে ইয়াং বাংলার কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হিসেবে দেখছেন না সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কার্যনির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু পুরস্কার বিতরণী বা ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার একটি আয়োজন নয়। বরং এর মাধ্যমে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা অনুপ্রেরণা লাভ করে দেশ গঠনের কাজে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামনে এগিয়ে আসার প্রেরণা পায়।’
ইয়াং বাংলা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের এই কার্যনির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘এবার সামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ক্রীড়া উন্নয়নসহ আরও বেশ কিছু বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সমাজ থেকে যেকোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা ও সহিংসতা দূরীকরণ এবং মাদক থেকে তরুণদের দূরে রাখার কার্যক্রমে সহায়তা করেছে। এগুলোর পাশাপাশি শিশুদের সামাজিক সহায়তা প্রদান, স্কুলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান, পথশিশু, শিশু বা প্রতিবন্ধীদের সহায়ক কার্যক্রম, অসহায় নারী, বৃদ্ধ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, শরণার্থী, হতদরিদ্র ও সমাজের অসহায়দের সহায়ক কার্যক্রমের জন্যও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম, টেকসই আবহাওয়া ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ তরুণদের ক্রীড়া ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনাধীন রাখা হয়েছে।
এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আবেদন পত্র আহ্বানের পর দেশের ৪৪টি শহর ও ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে ক্যাম্পেইন। এই আয়োজনের শুরু থেকে আশাতীত সাড়া পায় ইয়াং বাংলা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্র আসে। আগস্টের ১৯ তারিখ আবেদনের সময়সীমা শেষ হলে শুরু হয় বাছাই কার্যক্রম। প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া ১৩০০ আবেদনপত্র থেকে বাছাই করা হয় একশটিকে। এরপর শুরু হয় তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া। সমাজে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব এবং কার্যকারিতা বিবেচনায় এনে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
২০১৫ সালে প্রথমবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনে ১৫০০ আবেদন থেকে ৩০ জন তরুণ ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। তরুণদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বয়স্ক শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য এই পুরস্কার পায় তারা। বিগত দুই বছরে এই ৩০ জন পুরস্কার বিজয়ীদের নিয়ে নানা আয়োজন করে ইয়াং বাংলা। ইয়াং বাংলা ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের মধ্যকার এক সমঝোতার মাধ্যমে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের ১০ জন কম্পিউটার ল্যাব পায়। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে তারা আইসিটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তরুণদের কর্মক্ষম করে তুলতে পারছে। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয়ী কয়েকজনের পাশাপাশি ৯ সদস্যের তরুণ কর্মীদের একটি দল চীনে সফর করে। এছাড়া তিনজন বিজয়ী নিয়ে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে। দুই দেশের তরুণদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
‘তরুণরাই বর্তমানে উদ্ভাবনীমূলক সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে আবারও শুরু হয়েছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।’
—নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুত্, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
‘ইয়াং বাংলার কার্যক্রমের মূল চিন্তা ভুল প্রমাণিত হয়নি বরং আরও বড় সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। তারই ধারাবাহিকতায় আবার আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।’
—মো. শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সফল তরুণদের সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা ইতিবাচক অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন।’
—জুনাইদ আহমেদ পলক
প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
‘শুধু স্বীকৃতিই নয়। ইয়াং বাংলা সংগঠনগুলোকে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়। যাতে তারা তাদের উন্নয়নমূলক কাজের পরিধি বাড়িয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।’
—সাব্বির বিন শামস
নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)
বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
Admin 100+Torch rally of Bangabandhu Inter-University champ inaugurated
Admin 100+Torch rally of Bangabandhu Inter-University Sports begins
Admin 100+সোনার মানুষের খোঁজে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপ
Admin 100+